
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারেফাইল ছবি: রয়টার্স
গত তিন বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই সহায়তার বিনিময় হিসেবে অর্থ আদায় করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, “ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে যে আমরা এই অর্থের (ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সামরিক সহায়তার) কিছু অংশ ফেরত পেতে চলেছি।”
তিনি ওয়াশিংটনের সাহায্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের খনিজ ছাড় মঞ্জুর করার জন্য কিয়েভের ওপর চাপ দিচ্ছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন দ্রুত ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে দেশটির সঙ্গে একটি সরল চুক্তিতে আসতে চাচ্ছে। চুক্তির শর্ত নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা হবে, যেমন ইউক্রেনের বিশাল খনিজ সম্পদের কতটুকু যুক্তরাষ্ট্র নেবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে একটি বিস্তারিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছিল, যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাতিল করে দিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে গ্রাফাইট, ইউরেনিয়াম, টাইটানিয়াম ও লিথিয়ামসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ৫০ শতাংশ মালিকানা চেয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব বাতিল হওয়ার ফলে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে।
তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী। কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিতে বা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরুর আগে ট্রাম্প এটা করতে চান।
এই সমঝোতা প্রস্তাবে রাজি হতে ইউক্রেন বিনিময়ে কী চায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক দূত কেইথ কেলগ এই সপ্তাহেও কিয়েভে অবস্থান করছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কেইথ কেলগের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা গঠনমূলক হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের কর্মকর্তারা যদি একটি চুক্তিতে উপনীত হতে চান, তবে জেলেনস্কিকে নিয়ে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের এই ব্যক্তিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
রয়টার্স থেকে জানতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সাড়া মেলেনি।
এদিকে, ট্রাম্প জেলেনস্কির সমালোচনা করে তাঁকে ‘নির্বাচন ছাড়া স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছেন, যা দুই নেতার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল আরও বাড়িয়েছে।
Leave a Reply