যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে হোয়াইট হাউসে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে একটি বৈঠকে অংশ নেবে। এই বৈঠকটি ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ববর্তী ইরানকে পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে আয়োজিত হচ্ছে, যেখানে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করার বা সামরিক পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডার্মার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবি ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা এবং ইরান সম্পর্কিত আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প চিঠিটি কঠোর ভাষায় লিখেছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন পারমাণবিক আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, যদি তেহরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখে, তবে তাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের আলোচনা বিশ্লেষণ / ইরানকে থামানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পরিকল্পনা মার্চ মাসের শুরুতে ট্রাম্প ফক্স বিজনেস নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানকে মোকাবেলা করার দুটি উপায় আছে: সামরিক শক্তি বা চুক্তি। তিনি চুক্তি করার পক্ষে মত দিয়েছেন, কারণ তিনি ইরানকে আঘাত করতে চান না।
পরবর্তী সপ্তাহে, খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ওয়াশিংটনের প্রস্তাবকে ‘প্রতারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তথ্য: এক্সিওস, রয়টার্স
Leave a Reply