আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ডের বোমা সরবরাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরোপ করা স্থগিতাদেশ তুলে নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র গতকাল শনিবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

তবে ট্রাম্প যে এমন উদ্যোগ নেবেন, সেটা প্রত্যাশিত ছিল। ইসরায়েল সরকার বেসামরিক মানুষজনের ওপর, বিশেষ করে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজার রাফা শহরের মানুষের ওপর ব্যবহার করতে পারে, এমন আশঙ্কায় থেকে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে বাইডেন এ বোমা সরবরাহ করেননি।

নিজের ট্রুথ সোশ্যালে কোনো বিস্তারিত উল্লেখ না করে ট্রাম্প লেখেন, ‘এমন অনেক জিনিস, যা ইসরায়েল চেয়েছিল, অর্থও দিয়েছিল; কিন্তু বাইডেন সরবরাহ করেননি। সেগুলো এখন পথে রয়েছে।’

বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনই ইসরায়েলের ঘোর সমর্থক। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ওয়াশিংটনও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি তুললেও সফল হননি।

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের শপথের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলও কারাগারে আটক থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিচ্ছে।

এর আগে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হলে ‘নরকের মূল্য’ চোকাতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের মতো ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর কবল থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে ওয়াশিংটন সহায়তা করে যাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স