“ইসরায়েলি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল আমেরিকা”

“ইসরায়েলি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল আমেরিকা”

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এর সামরিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনঃস্থাপন নিয়ে ট্রাম্প কি কিছু করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে লিভিট এ কথা বলেন।

হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে লিভিট জানান, প্রেসিডেন্ট হামাসকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যদি তারা সকল জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তবে তাদের ভীষণ মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, হামাস জীবনের সাথে খেলছে।”

লিভিট জানান, এই পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি দায়ী হামাস। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উপর হামলা শুরু করার পর থেকেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি চান সকল জিম্মি তাদের বাড়ি ফিরে আসুক। তাই, ইসরায়েল ও আইডিএফ সম্প্রতি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে ট্রাম্প পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ ও উত্তরের বেইত লাহিয়ায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার অস্ত্রবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চলতে থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৯ হাজার ৬১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন, যাদের বেশিরভাগই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হারিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। বর্তমানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি এখনও হামাসের বন্দিদশায় রয়েছেন। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতিতে হামাস বেশ কয়েকবার জিম্মি মুক্তি স্থগিত করায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে বাধ্য করার বিশ্ব আহ্বান উপেক্ষা করে হামাস। এর ফলে, দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যাহত হয় এবং ইসরায়েল পুনরায় গাজায় তাণ্ডব শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.