উপসর্গ না থাকলেও ৪০ বছরের পর কেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি?

উপসর্গ না থাকলেও ৪০ বছরের পর কেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি?

৪০ বছরের পর নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা কেন জরুরি?

ডায়াবেটিস এমন এক নীরব রোগ, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই স্ট্রোক বা হৃদ্‌রোগের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের ডায়াবেটিস ছিল অনিয়ন্ত্রিত। অথচ তাঁরা জানতেনই না, কারণ লক্ষণগুলো তেমন স্পষ্ট ছিল না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪০ বছর বয়স পার হলে প্রতি বছর একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত, এমনকি যদি কোনো উপসর্গ না থাকে। তবে ডায়াবেটিস যে শুধুমাত্র ৪০ বছর পরেই হতে পারে, তা নয়। তাই যে কোনো বয়সেই যদি কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ বারবার দেখা দেয়, তবে তা অবহেলা না করে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপসর্গ

  • বারবার ক্ষুধা বা তৃষ্ণা লাগা
  • অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
  • হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
  • ত্বকে চুলকানি বা সংক্রমণ হওয়া

ডায়াবেটিসে কেন চুলকানি হয়?

ডায়াবেটিস রোগীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় বারবার সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এ কারণে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে স্নায়ুর ক্ষতি হলে কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চুলকানির অনুভূতি হতে পারে।

করণীয় কী?

প্রায়ই চুলকানি হলে বা উপরের উপসর্গগুলোর যেকোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শুধু আঙুলের রক্ত পরীক্ষা নয়, সঠিকভাবে ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে শিরা থেকে রক্ত নিয়ে একাধিক পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস ছাড়াও লিভারের সমস্যা বা অন্যান্য চর্মরোগেও চুলকানি হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সময়মতো পরীক্ষা করলে ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.