“জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও সাবেক সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল এবং সে উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় সহিংসতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সাবেক সরকার জড়িত ছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা সহিংস পথ অবলম্বন করে এবং নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার গ্রেপ্তার চালায় বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘এই নৃশংস পদক্ষেপ ছিল একটি পরিকল্পিত ও সুসমন্বিত কৌশলের অংশ, যা রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় বাস্তবায়িত হয়েছিল।’
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষমতা হারানোর পর দেশজুড়ে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনায় কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেক অপরাধী এখনও দায়মুক্তি ভোগ করছে।
ফলকার টুর্ক জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।”
Leave a Reply