গণভোটের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন”

গণভোটের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন”

সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টেক্সটটি সংশোধিত ও সহজতর রূপে উপস্থাপন:

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সাংবিধানিকভাবে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত একই সঙ্গে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর আরও চারটি ধারা বাতিল করেছেন।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়, যা ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনে। এর মধ্যে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। হাইকোর্টের মতে, এই ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো তথা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংবিধানের অংশ এবং এটি নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ তিনটি নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) এর নজির তুলে ধরে আদালত বলেছেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংরক্ষণ জরুরি।

গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং ৭ক, ৭খ অনুচ্ছেদসহ অন্যান্য বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহারের পথ সুগম হলেও এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতের এই রায় গণতন্ত্র ও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.