চট্টগ্রামে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, এছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন।

চট্টগ্রামে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, এছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন।

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কাউকে চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়ার দাবি সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আজ রোববার সকাল আটটা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চমেক হাসপাতালে প্রায় ১৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পালা করে মূল চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। কর্মসূচির কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।

একই দাবিতে চমেকের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করেছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টায় ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন জানান, পাঁচ দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন এবং শিক্ষার্থীরাও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তাঁদের দাবি, ম্যাটস, ডিএমএফসহ অন্য কেউ ডাক্তার লেখা থেকে বিরত রাখতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আহমদ হাসবাইন বলেন, ‘সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মতো এই আন্দোলন চলছে। দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আজ মানববন্ধন শেষে আমরা অধ্যক্ষ ও পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেব।’

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. তসলিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সারা দেশের মতো এখানে ধর্মঘট করছেন। আমরা অন্য চিকিৎসকদের দিয়ে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.