জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ তৈরির উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। তবে এর প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য সাফল্য নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
বিএনপি মনে করে, ঘোষণাপত্রে শুধু অভ্যুত্থানের নয়, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন, ত্যাগ, গুম-খুনসহ সবকিছুর স্বীকৃতি থাকা উচিত। একই সঙ্গে, সংবিধান স্থগিত বা বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
ছাত্ররা ইতোমধ্যে শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তাবও এসেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে, এই ঘোষণাপত্র শুধু ছাত্রদের একক বিষয় নয়, বরং এটি রাজনৈতিক ঐক্যের দালিলিক প্রমাণ হওয়া উচিত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই ঘোষণাপত্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং সব অংশীজনের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অন্যদিকে সিপিবি ও জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি দল সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত এবং ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক সত্ত্বেও সবাই একমত যে, চব্বিশের ছাত্র-জনতার ঐক্য একটি অভূতপূর্ব ঘটনা এবং এটির দালিলিক স্বীকৃতি থাকা জরুরি।
Leave a Reply