তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রশ্নে অনিশ্চয়তা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপি বরাবরই বলছে, তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা নিষ্পত্তির পরই তিনি দেশে ফিরবেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের করা একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত একটি মামলা এখনো বাকি থাকায় তার ফেরা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে পারেন। কেউ কেউ বলছেন, তারেক রহমানও তার সঙ্গে ফিরতে পারেন, তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তারেক রহমান আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে দেশে ফিরতে পারেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এবং বিএনপি সরকার গঠন করলে রাজনীতির হাল ধরতে পারেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তারেক রহমান মামলাগুলো নিষ্পত্তির পর সুবিধামতো সময়ে দেশে ফিরবেন।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০০৮ সালে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখান থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপি বলছে, তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নতুন পরিস্থিতিতে সেগুলো থেকে মুক্ত হওয়াই তার লক্ষ্য।
অন্যদিকে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান ও আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী শক্তিগুলোর মনোভাব বিশ্লেষণ করছে। দলটির নেতাকর্মীরা আশাবাদী, পরিবর্তিত বাস্তবতায় তার দেশে ফেরা আর বাধাগ্রস্ত হবে না।
Leave a Reply