‘তিন বন্দির মুক্তির পর ইসরায়েল আরও ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে’

‘তিন বন্দির মুক্তির পর ইসরায়েল আরও ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আরও তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি ও আল জাজিরা সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি বন্দিরা হলেন—এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি, ও অর লেভি। তাদের শনিবার সকালে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরে তারা ইসরায়েলে তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উৎসব চলছে পশ্চিম তীরের রামাল্লায়।

প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের অধিকাংশেরই স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন, তবে আরও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এ পর্যন্ত ২১ জন ইসরায়েলি বন্দি ও ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত ৩৩ জন বন্দি ও এক হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে, যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ বন্দির মধ্যে ৮ জন মারা গেছে।

শনিবার শারাবি, বেন আমি ও লেভিকে মধ্য গাজায় দেইর আল-বালাহ এলাকায় রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বন্দি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, সশস্ত্র ব্যক্তিরা বন্দিদের ঘিরে রাখেন।

গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটি পঞ্চম বন্দি বিনিময়।

এদিকে, মুক্তি কার্যক্রমের প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি মর্যাদাকর ও গোপনীয়ভাবে সম্পন্ন করা উচিত।

পরবর্তীতে, ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাদের মধ্যে ৭০ জন যাবজ্জীবন বা দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন, আর ১১১ জনকে গাজা যুদ্ধের সময় আটক করা হয়েছিল।

ফিলিস্তিন প্রিজনার্স ক্লাব এএফপিকে জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭ জনকে রামাল্লার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া সব বন্দিকেই স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।

মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে হামাসের সুপরিচিত নেতা জামাল আল-তাউইলও রয়েছেন, যিনি প্রায় ১৯ বছর ইসরায়েলের কারাগারে কাটিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.