জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “কেউই জানতেন না যে একটি অভ্যুত্থান ঘটবে, তবে তা হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এবার আমরা বিজয়ী হতে চলেছি।”

তিনি ও তার দল পরবর্তী সরকার গঠন করতে না পারলেও, তারা এমন একটি রাজনৈতিক শক্তির সূচনা করেছেন যা আগামী কয়েক দশক ধরে প্রভাবশালী থাকবে বলে মত দেন নাহিদ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন নাহিদ ইসলাম। হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেন তিনি। তবে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি তার নেতৃত্বে তরুণদের নতুন দল এনসিপি আত্মপ্রকাশ করে।

বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ কম রয়েছে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “এমনকি তরুণেরা যে কারণে জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেসব সংস্কারেও তারা আগ্রহী নয়।”

নাহিদ আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান এবং এর পরবর্তী সময়ে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই কারণেই আমরা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সত্য নয়। তবে এই নির্বাচনই শেষ নয়…আমাদের লক্ষ্য এই রাজনৈতিক শক্তিকে আরও ৫০ বা ১০০ বছর ধরে টিকিয়ে রাখা।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে হাসিনার পতনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। এনসিপির অন্যতম লক্ষ্য হলো গণপরিষদ গঠন, যা বাংলাদেশের সংবিধান পুনর্গঠন করে স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

নাহিদ বলেন, “আমরা একটি বৃহৎ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দল গঠন করতে চাই, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারবে।”