সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নোমান আলীর দুর্দান্ত স্পিনে বিধ্বস্ত অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার অসাধারণ হ্যাটট্রিকে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রথম দিনে ৪১.১ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। ৬ উইকেট শিকার করেছেন নোমান আলী। নোমান আলীর এই হ্যাটট্রিক শুধু অসাধারণই নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। নোমান প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন।
হ্যাটট্রিকের পথে নোমান একে একে শিকার করেন জাস্টিন গ্রিভস, তেভিন ইমলাচ এবং কেভিন সিনক্লেয়ারকে। গ্রিভস এবং ইমলাচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন, এরপর কেভিন সিনক্লেয়ারকে শর্ট ফরোয়ার্ডে থাকা বাবর আজমের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠান।
সিনক্লেয়ারের ক্যাচ ধরার পর বাবর আজম স্থির থাকলেও নোমানের সতীর্থরা তার ঐতিহাসিক কীর্তি উদযাপনে দৌড়ে যান তার কাছে। মুলতানের এই ম্যাচে নোমান ষষ্ঠ পাকিস্তানি বোলার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন। তবে, স্পিনার হিসেবে এই অর্জন পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে তারই প্রথম।
পাকিস্তানের মাটিতে টেস্টে স্পিনারদের হ্যাটট্রিকের ঘটনা বিরল। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন বাংলাদেশের অলক কাপালি ২০০৩ সালে এবং নিউজিল্যান্ডের পিটার প্যাথেরিক ১৯৭৬ সালে। কাপালি পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং প্যাথেরিক লাহোরে জাভেদ মিয়াঁদাদদের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
২০২০ সালে পাকিস্তানের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাসিম শাহ, প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের হয়ে আগের পাঁচটি হ্যাটট্রিকের মধ্যে দুটি করেছিলেন ওয়াসিম আকরাম, দুটিই ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এছাড়া আবদুর রাজ্জাক (২০০০) এবং মোহাম্মদ সামি (২০০২) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন।
Leave a Reply