পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে পাওনাদাররা কফিনবাহী গাড়ি আটকে রাখার ঘটনা একটি মানবিক ও সামাজিক সংকটকে তুলে ধরেছে। এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করতে নিম্নলিখিতভাবে পাঠটি সহজ ও সুসংবদ্ধভাবে পরিবেশন করা যেতে পারে:
পাওনা আদায়ে লাশ আটকে রাখার ঘটনা
স্থান: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক
আজ শনিবার সকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম খানের মরদেহ দাফনের আগে পাওনাদারেরা কফিনবাহী গাড়ি আটকে রাখেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রায় দুই ঘণ্টা লাশের কফিন অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ঘটনার পটভূমি:
২০১৫ সালে হাকিম খান জলিশা গ্রামে একটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ/এমপিওভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নেন। তবে ৯ বছরেও এটি জাতীয়করণ/এমপিওভুক্ত হয়নি। এ সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছেন।
সমস্যার সমাধান:
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মাহমুদের মধ্যস্থতায় পাওনাদারদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এর পর কফিন দাফনের অনুমতি দেন পাওনাদারেরা।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
পাওনাদারদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিকেলে পরিবারের সদস্য ও প্রশাসনের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, মরহুমকে গার্ড অব অনার দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, লাশ দাফনে বিলম্ব হওয়া একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি, তবে পাওনাদারদের দাবি দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Leave a Reply