বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। এই নতুন দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন তরুণ উপদেষ্টা, যিনি পদত্যাগ করে দলের দায়িত্ব নিতে পারেন।

উল্লেখযোগ্য যে, নতুন দলটি আদর্শগতভাবে মধ্যপন্থী ধারার হবে এবং দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তবে, বিভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে নাম চূড়ান্ত করা হয়নি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন শিক্ষার্থী উপদেষ্টা (মাহফুজ আলম, নাহিদ ইসলাম, ও আসিফ মাহমুদ) এর মধ্যে একজন পদত্যাগ করে নতুন দলের নেতৃত্ব নেবেন। অন্য দুজন পরবর্তীতে, সুবিধাজনক সময়ে পদত্যাগ করে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষদিকে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তাদের লক্ষ্য ডান ও বাম ধারার বাইরে থেকে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো। তারা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া, কিন্তু দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকা ব্যক্তিদের নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।

তিনি আরও জানান, দলের নাম, নেতৃত্ব ও আত্মপ্রকাশের স্থান এবং তারিখ সম্পর্কে এখনো আলোচনা চলছে এবং শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপারে জনমত যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্র অনুযায়ী, নতুন দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে আসতে পারেন একজন উপদেষ্টার ভাই, যিনি বর্তমানে নাগরিক কমিটির সদস্য।

গত বছর আগস্টে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এবং এখন পর্যন্ত সারা দেশে তাদের প্রতিনিধির সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিটি গঠন করেছে।

তবে, শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হলেও, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি ‘সিভিল পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।