বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় সেন্ট ভিনসেন্টে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় নিয়ে যে উত্তেজনা অনুভব করছিলেন, সেটি এত বড় ব্যবধানে জয় হবে, তা বোধহয় কল্পনায়ও ছিল না।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। ওপেনার জনসন চার্লস (১৮ বলে ২৩) এবং রোমারিও শেফার্ড (২৭ বলে ৩৩) ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। ফলে মাত্র ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয় দল।
৮০ রানের বড় জয়
বাংলাদেশ এই ম্যাচে ৮০ রানের জয় তুলে নেয়, যা টি-টোয়েন্টিতে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। এর আগে ২০২১ সালে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
অসাধারণ সিরিজ জয়
এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয়। উইন্ডিজের মাটিতে তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব এর আগে কেবল ইংল্যান্ডের (২০১৯) ছিল। এবার সেই কীর্তিতে নাম লেখালেন জাকির হাসান, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদসহ পুরো বাংলাদেশ দল।
খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো
বাংলাদেশের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তাসকিন আহমেদের দারুণ ডেলিভারিতে ব্রান্ডন কিং এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন। এরপর উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন-আপ ক্রমাগত চাপে পড়ে। শেখ মেহেদীর দুর্দান্ত বোলিং এবং রিশাদের সরাসরি থ্রোতে জনসন চার্লসের রান আউট দলের জন্য বিরাট ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়।
রভম্যান পাওয়েল, গুড়াকেশ মোতি, আলজারি জোসেফসহ বাকি ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের স্পিনারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের সামনে সঠিকভাবে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন।
উল্লেখযোগ্য বোলিং পারফরম্যান্স
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। শেখ মেহেদী ও তাসকিন আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন, আর সাকিব ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট দখল করেন।
এই জয় দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রমাণ করেছে যে তাদের সামর্থ্য এবং প্রতিশ্রুতি কোনো সীমা মানে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এমন একতরফা পারফরম্যান্সে গর্বিত গোটা জাতি।
Leave a Reply