বাইডেন প্রশাসনে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী

বাইডেন প্রশাসনে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী

বাইডেন প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি: এক বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বিতাড়িত

বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছিল। তবে গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ (আইসিই) ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করেছে, যা গত দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আইসিই-এর চূড়ান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিতাড়িত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। এদের এক-তৃতীয়াংশ ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অথবা অভিযোগের মুখে রয়েছেন।

ট্রাম্পের অভিবাসন ইস্যুতে জোর
প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুকে তার নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্ব দেন। তিনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাবেন।

অবৈধ অভিবাসনের চিত্র
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে বিতাড়িতদের এ সংখ্যা উঠে এসেছে। বাইডেন প্রশাসনের শুরুতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ বাড়লেও, পরবর্তীতে কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণের ফলে এ সংখ্যা কিছুটা কমে আসে।

বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে ধারণা করা হলেও, ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের দাবি, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

আইসিই-এর উপপরিচালক প্যাট্রিক লেচলেইটনার বলেন, “আমাদের কর্মীদের প্রতি বছরই কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তবে তারা সবসময় এই চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন।”

বাইডেন প্রশাসনের কঠোর নীতিমালা ও ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে এক ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.