মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সচিব মাহফুজুল আলমের বিরুদ্ধে। সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মাহফুজুল আলম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া বিপিএলের শুরুর দিন প্রেসিডেন্ট বক্সে ফারুক আহমেদের সঙ্গে টিকিটের বিশৃঙ্খলা, দর্শকদের পানীয় পানিতে বিলম্বসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়, যেখানে মাহফুজ উত্তেজিত হয়ে বিসিবি সভাপতির প্রতি অশোভন মন্তব্য করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।
ফারুক আহমেদ সম্পর্কে মাহফুজ মন্তব্য করেছিলেন, ‘আপনি কীভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তা আমাদের জানা আছে।’ তবে বিষয়টি আরও বড় আকার ধারণ করার আগে অন্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিপিএলের টাইটেল স্পনসর ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ও বিসিবির কর্মকর্তারা।
বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেস সচিবের এ ধরনের আচরণ শুধু বিসিবি সভাপতির জন্য নয়, ক্রীড়া উপদেষ্টার সম্মানহানির কারণ।’
তবে মাহফুজ তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, ঘটনাটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং কোনো উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়নি। তাঁর মতে, ‘এটি ছিল স্বাভাবিক আলোচনার অংশ, যেখানে দুই পক্ষই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল।’
এ ঘটনায় আরও জানা গেছে, মাহফুজের সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তি পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করেছিলেন। বিসিবি কর্মীরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর মোবাইল রিবুট করে ভিডিওটি মুছে ফেলেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে সেই ব্যক্তিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Leave a Reply