বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অবিস্মরণীয় জয়
আজিজুল হাকিমের বলে আউট হলেন চেতন শর্মা। বাউন্ডারি লাইনে কালাম সিদ্দিকী ক্যাচ নিতেই আনন্দে ভাসল বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের কৃতজ্ঞতার সিজদায় মুখরিত হলো মাঠ, উড়ল লাল-সবুজের পতাকা। ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল বাংলাদেশের ইয়াং টাইগার্স। ফাইনালের এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতকে আটকে রাখে মাত্র ১৩৯ রানে।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বে দলটি ভারতের রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়নশিপের আধিপত্য ভেঙে ফেলে।
বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে চাপে ফেলে দেয়। ইকবাল হোসাইন ইমন তার অসাধারণ স্পেলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। আল ফাহাদ প্রথম দিকেই আয়ুশ মহাত্রেকে আউট করে ভারতীয় ইনিংসের ভিত নাড়ান। এরপর মারুফ মৃধা ও রিজান তাদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দেন।
ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান ও কেপি কার্তিকেয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ইমনের আরেকটি দুর্দান্ত স্পেলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক ফরিদের চারটি ক্যাচও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত, ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৩৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং সংগ্রাম
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শুরুতেই কিছুটা বিপাকে পড়ে। ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন। তবে রিজান ও শিহাব জেমস গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে টেনে তোলেন। শিহাব করেন ৪০ রান, আর রিজান মিস করেন অর্ধশতক। লোয়ার অর্ডারে ফরিদ হাসান ও মারুফ মৃধার ৩০ রানের জুটি বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়।
অদম্য বাংলাদেশ
১৯৮ রানের ছোট লক্ষ্যকে পাহাড়সম বানিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। দারুণ বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের সমন্বয়ে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব আরেকবার প্রমাণ করে। প্রবাসী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস আর লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর মাধ্যমে এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আরও একটি স্মরণীয় অধ্যায় যোগ করেছে।
Leave a Reply