“রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ল আরও এক মাস”

“রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ল আরও এক মাস”

কর রিটার্ন জমার সময়সীমা আরও এক দফা বৃদ্ধি

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) জমার সময় আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। নতুন আদেশ অনুযায়ী, রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি ২০২৪। এর আগে সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

একই সঙ্গে কোম্পানির রিটার্ন জমার সময়সীমাও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এখন কোম্পানির রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সাধারণত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হয়।

সময়সীমা বৃদ্ধির কারণ

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনলাইন রিটার্নে বাধ্যবাধকতা

গত ২২ অক্টোবর এনবিআর একটি নির্দেশনায় সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। এই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস, বাটা শু কোম্পানি এবং নেসলে বাংলাদেশ।

সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জ

প্রতিবছর নির্ধারিত সময়সীমার পর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর প্রবণতা থেকে বের হতে পারছে না এনবিআর। নতুন অনলাইন রিটার্ন বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক ব্যাংকার ও কোম্পানির কর্মকর্তারা সমস্যায় পড়েছেন।

নির্ধারিত সময়সীমা বজায় রাখা জরুরি

বিশেষজ্ঞদের মতে, কর দাখিলের সংস্কৃতিকে আরও সুসংগঠিত করতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। সময়মতো কর দাখিল নিশ্চিত করতে সচেতনতা এবং করদাতাদের আরও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.