আন্তজার্তিক ডেস্ক : চলতি মেয়াদের শেষ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তিরস্কার করলেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং রুমে অস্বাভাবিক দৃশ্যটি দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীন সাংবাদিক স্যাম হুসেইনি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘অপরাধী! আপনি কেন হেগে নেই?’ হেগে মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত।
এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা জোর করে সাংবাদিক হুসেইনিকে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্লিঙ্কেনকে কক্ষের বাইরে নেওয়া হয়।
ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ায় এমন তিরস্কারের মুখে পড়েন ব্লিঙ্কেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪৬,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত করেছে।
ইসরায়েলি এমন তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইসরায়েল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
‘গণহত্যার উত্তরাধিকার হতে পেরে আপনার কেমন লাগছে?’
ব্লিঙ্কেনকে এভাবেই তিরস্কারমূলক প্রশ্ন ছুড়ে দেন গ্রেজোন ব্লগের সম্পাদক ম্যাক্স ব্লুমেন্থাল। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনার শ্বশুর একজন ইসরায়েলি লবিস্ট ছিলেন। আপনার দাদাও একজন ইসরায়েলি লবিস্ট ছিলেন। আপনিও কি ইসরায়েলের সাথে আপোষ করছেন? কেন আপনি আমাদের সময়ের হলোকাস্ট (গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব) ঘটতে দিলেন?’
ব্লুমেন্থাল চিৎকার করে ব্লিঙ্কেনকে বলছিলেন, ‘মে মাসে যখন আমাদের চুক্তি হয়েছিল, তখন আপনারা কেন বোমা উড়িয়ে রেখেছিলেন? আমরা সবাই জানতাম, আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। এই ঘরের সবাই জানে, আমাদের একটি চুক্তি হয়েছিল। আপনি বোমাগুলো প্রবাহিত (ইসরায়েলে বোমা পাঠানো অব্যাহত) রেখেছিলেন।’
সাংবাদিকরা ব্লিনকেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার উভয়কেই গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কড়া প্রশ্ন করেন।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলন কিংবা বক্তৃতার সময়ও বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ব্লিঙ্কেনকে।
বিক্ষোভকারীরা কয়েক মাস ধরে তার ভার্জিনিয়ার বাড়ির বাইরে অস্থায়ী শিবির স্থাপন করেছিল। বার বার ব্লিনকেন এবং তার পরিবারকে বহনকারী গাড়িতে রক্তের মতো লাল রঙ নিক্ষেপ করা হয়। সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply