সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় সব ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সচিবালয়ে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে সামনে অপেক্ষা করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে আসতে শুরু করেন। যদিও অফিস সময় সকাল ৯টায় শুরু, আগুনের ঘটনার কারণে অনেকেই আগে থেকেই উপস্থিত হন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ সাইফুর রহমান সকাল আটটার দিকে সচিবালয়ের সামনে এসে ভেতরে ঢুকতে না পেরে অপেক্ষা করছেন। একই চিত্র দেখা গেছে স্বাস্থ্য, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও।

সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, “উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।”

আগুন লাগার পরপরই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খান ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। বেরিয়ে এসে তিনি জানান, দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয়ে প্রবেশের রাস্তাও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

এ ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় আগুন লাগল। কেউ কেউ ঘটনাটিকে নাশকতা বলে সন্দেহ করছেন এবং আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৯টি ইউনিটের কাজ

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পান বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে। রাত ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুরুতে আটটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পরে সংখ্যা বাড়িয়ে ১৯টি ইউনিট কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার জানান, ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, আগুনে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।