সার, সেচ ও ফসল সংরক্ষণে সংকটের কারণ কী?

সার, সেচ ও ফসল সংরক্ষণে সংকটের কারণ কী?

খাদ্যনিরাপত্তার জন্য কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দেশের বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে কৃষি খাতের উন্নয়ন কিংবা সংস্কার বিষয়ে আলোচনা নেই। কৃষকদের সার, সেচ এবং ফসল সংরক্ষণের সংকট ঘনীভূত হয়ে উঠেছে, যা তাদের জীবিকা এবং দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সারের অভাবে পড়েছেন এবং যে সার তারা পাচ্ছেন, সেটিও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপির দাম সরকারের নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য চরম সংকট তৈরি করেছে।

এছাড়াও, কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যের কারণে কৃষকরা চাপে আছেন। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে সারের দাম কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে, এবং এর ফলে কৃষকদের খরচ বেড়েছে। সরকারের উচিত ছিল সারের দাম কমানো, কিন্তু তারা তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলস্বরূপ, কৃষকেরা সারের সংকট এবং সরকারের নির্ধারিত মূল্যেও সার কিনতে পারছেন না, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে।

সেচের সংকটও কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা। ভারতের নদী থেকে পানি প্রত্যাহার এবং দেশের নদী ও জলাশয়ের দখল এর প্রধান কারণ। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে দেশের সেচ প্রকল্পের সুবিধা পুরোপুরি কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে কৃষকদের জন্য সেচের পানি পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও, হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আলু চাষিরা আরও বিপদে পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবাদ জানালেও সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।

এই সংকটগুলো সমাধানে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কৃষকদের প্রতি সরকারের অগ্রাহ্য মনোভাব এবং কৃষি খাতে সংস্কারের অভাব দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার জন্য বড় বিপদ বয়ে আনছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.