হাসিনার বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা: দেশজুড়ে সহিংসতা ও উদ্বেগ
গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে স্থাপনা, বাড়িঘর ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ভারতের অবস্থান থেকে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও জনতার মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা সহিংসতায় রূপ নেয়। দেশের ৩৫টিরও বেশি জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও কার্যালয়ে হামলা হয় এবং শেখ পরিবারের সদস্যদের ম্যুরাল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে এসব ঘটনাকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে এবং সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও বর্তমান অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সহিংসতা বন্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে যদি সকল পক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ না করে।
Leave a Reply