“২০ বছরে শেষ হয়নি ‘তাজমহলের টেন্ডার’ প্রকল্প”

“২০ বছরে শেষ হয়নি ‘তাজমহলের টেন্ডার’ প্রকল্প”

তাজমহলের টেন্ডার: এক ব্যঙ্গাত্মক বাস্তবতা

সম্রাট স্বপ্ন দেখলেন, মমতাজের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে তাজমহল গড়বেন। খরচের বাধা না রেখে টাঁকশাল খুলে দিলেন। কিন্তু প্রকৌশলী, আমলা ও ঠিকাদারেরা প্রকল্প বানাতে বানাতে ২০ বছর পার করে দিলেন—তবু টেন্ডারই হলো না।

সম্রাট বৃদ্ধ হলেন। স্বপ্নে মমতাজ এলেন, গলা জড়িয়ে বললেন, “তুমি তো প্রতিশ্রুতি রাখলে না!” সম্রাট কষ্ট পেলেন। ঠিক তখনই যখন ঠিকাদার টেন্ডার নোটিশ নিয়ে এলেন, সম্রাট সিংহাসনে বসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। আর প্রকৌশলী ও আমলারা তখনও ফাইলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যস্ত।

নাটকটি প্রকল্প-ভিত্তিক দুর্নীতি, প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারকে ব্যঙ্গ করে। সম্রাটের আদেশে গঠিত হয় ‘দি তাজমহল কনস্ট্রাকশন করপোরেশন’, যেখানে প্রকৌশলীদের চেয়ে প্রশাসনের লোকেরাই বেশি লাভবান হয়। তাজমহলের জায়গায় পরিবেশবাদী, আন্দোলনকারী ও আদালতের মামলা এসে দাঁড়ায়। বছর কেটে যায়, প্রকল্প বাড়তে থাকে, বাজেট ফুলতে থাকে।

২০ বছর পর যখন টেন্ডার নোটিশ আসে, তখন সম্রাট জীবিত নন। কিন্তু প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা আশাবাদী—“আবার কেউ স্বপ্ন দেখবেন, আবার ডাক আসবে, তখন এই ফাইল কাজে লাগবে।”

নাটকের বিদ্রূপাত্মক সংলাপ আর হাস্যরসের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, কীভাবে দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত হয়, এবং স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.