৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএ’র

৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএ’র

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তার অসংখ্য কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে। এই কর্মীরা সংস্থাটির রিক্রুটিং ও বৈচিত্র্য (ডাইভারসিটি) নিয়ে কাজ করেন। সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, এটি হবে সংস্থাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের জনশক্তিতে বৈচিত্র্যের প্রচেষ্টা নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সম্ভাব্য গণছাঁটাইয়ের এই উদ্যোগ তার এই আদেশেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার সিআইএ বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের ডাকতে শুরু করে এবং তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়, নইলে বরখাস্তের শিকার হতে হবে বলে জানানো হয়। তবে একটি ফেডারেল আদালত দ্রুতই এ পদক্ষেপ স্থগিত করে।

এখন আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারকের শুনানির মাধ্যমে কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের উদ্যোগের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, তা নির্ধারণ হবে।

সিআইএ’র পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ ডাইভারসিটি নিয়োগ বন্ধে হোয়াইট হাউসের নির্বাহী আদেশ মেনে আরও কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করতে পারেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী কেভিন ক্যারল জানান, এ ঘটনার মাধ্যমে বরখাস্ত প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নীতিতে পরিবর্তন আনতে প্রেসিডেন্টরা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন আদেশ জারি করেন, তবে আগের প্রশাসনের অগ্রাধিকারমূলক কাজ এগিয়ে নেওয়া কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার ঘটনা বিরল।

সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছিল সিআইএ। তখন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সংস্থাটিকে গোপন তৎপরতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বর্তমানে, সিআইএ যেসব কর্মীকে বরখাস্ত করতে চাইছে, তারা ডাইভারসিটি বিশেষজ্ঞ নন। সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তারা জানান, এসব কর্মীদের এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়, যেখানে তাঁদের বিদেশে গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.