দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় হাই কোর্টের রায়ে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আদালত অভিযোগ গঠনে ত্রুটি উল্লেখ করে এই রায় দেন।
হাই কোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রোববার এ রায় ঘোষণা করে। মামলায় আসামিদের আপিল মঞ্জুর এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) খারিজ করা হয়।
ঢাকার জজ আদালত ২০১৮ সালে মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।
হাই কোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের সেই রায় বাতিল করে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে মুফতি আব্দুল হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রটি ‘অবৈধ’। কোনো সাক্ষী কোনো আসামিকে গ্রেনেড ছুড়তে দেখেননি, তাই শুধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া যায় না।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিচার চালানোর ঘটনা নজিরবিহীন। এ ছাড়া অভিযোগ গঠনে আইনি ত্রুটি ছিল, যা আদালত গ্রহণ করেছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ২৪ জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ মানুষ আহত হন। হামলাটি পরিকল্পিতভাবে দলকে নেতৃত্বশূন্য করতে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে ২০০৭ সালে নতুন তদন্তে বেরিয়ে আসে, ‘জজ মিয়ার নাটকীয় স্বীকারোক্তি’সহ মামলার আগের অনেক তথ্য মিথ্যা। ২০০৮ ও ২০১১ সালে নতুন অভিযোগপত্রে বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিলেও হাই কোর্ট রায়ে সব আসামিকে খালাস দেয়।
Leave a Reply