নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ২৫তম সমাবর্তনে আচার্য স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কাজী মোসাদ্দেকুরের অনুপ্রেরণার গল্প
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০
মো. জান্নাতুল নাঈম
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ২৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ৭ ডিসেম্বর। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের স্নাতক কাজী মোসাদ্দেকুর তাঁর অসাধারণ একাডেমিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আচার্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। স্নাতক জীবনের প্রতিটি সেমিস্টারে ৪.০ সিজিপিএ অর্জন করা এই শিক্ষার্থীর সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মো. জান্নাতুল নাঈম।
সাফল্যের অনুভূতি
কাজী মোসাদ্দেকুর বলেন, “অনেক খুশি। মা-বাবার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে। তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। স্বর্ণপদক পাওয়ার পর মনে হয়েছে, চার বছরের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। মা-বাবা খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।”
বর্তমান ও অতীত যাত্রা
মোসাদ্দেকুর বর্তমানে মেক্সট বৃত্তি নিয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। তবে জাপানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নতুন নয়। মাত্র আট মাস বয়সে বাবার কর্মসূত্রে প্রথমবার সেখানে যান এবং গ্রেড ১ পর্যন্ত সেখানকার স্কুলে পড়েন। পরে দেশে ফিরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে।
সাফল্যের পেছনের রহস্য
এই অসামান্য ফলাফলের পেছনের রহস্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “নিয়মিত পড়াশোনা। কোনো লেকচার পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত রেখে দেইনি। প্রতিদিনের পাঠ প্রতিদিন শেষ করার চেষ্টা করেছি।”
সিএসই-তে আগ্রহের কারণ
ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটার ও রোবোটিকসের প্রতি আগ্রহ তাঁকে সিএসই পড়তে অনুপ্রাণিত করেছে। “প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সুযোগই আমাকে এই বিষয়টি বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে,” বলেন তিনি।
সহশিক্ষা কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা
শুধু একাডেমিক পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ না থেকে মোসাদ্দেকুর বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন এবং পুরস্কারও অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, “সহশিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ, তবে পড়াশোনার উপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়। ভালো ফলাফলের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।”
ভবিষ্যতে তিনি একজন শিক্ষক বা গবেষক হতে চান, এমন একটি ক্যারিয়ার যেখানে তাঁর কাজ মানুষের কল্যাণে আসবে।
Leave a Reply