বিএনপির মিত্রদের সঙ্গে মতবিনিময়: নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে আলোচনা
গুলশান, ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর (ছবি: বিজ্ঞপ্তি)
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি তাদের সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এই বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপি একদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মনোভাব যাচাই করছে, অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বার্তা দিচ্ছে।
শনিবার প্রথম দিনে ১২–দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে বিএনপির নেতারা আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জানা গেছে, শিগগিরই অন্যান্য সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক হবে।
বৈঠকের মূল আলোচনা
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা জানিয়েছেন, মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্য এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের তৎপরতা নিয়ে মতামত তুলে ধরা হয়। উপস্থিত নেতারা নির্বাচন প্রলম্বিত করার বিষয়ে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং বিএনপিকে সংঘাতে না গিয়ে নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টির পরামর্শ দেন।
বিএনপির নেতৃত্ব ও বক্তব্য
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে আরও কৌশলী হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যে বিভক্তি তৈরি করা যাবে না। সরকারের সঙ্গে বৈরী না হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।”
অংশগ্রহণকারী দলের মন্তব্য
১২–দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। বিএনপিসহ অন্য দলগুলোকে নিয়ে খুব শিগগির কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন
বৈঠকে ১২–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং লেবার পার্টির শীর্ষ নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন।
উপসংহার
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। এর ভিত্তিতে কিছু করণীয় নির্ধারণ হলে তা শিগগির জানানো হবে।”
এই বৈঠক বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং মিত্রদের সঙ্গে ঐক্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply