ট্রাম্পের প্রতিশোধ নেবে ইরান ইসরায়েলের ওপর!
ইরানের সামরিক যান। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এর জবাবে ইরান পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রতিক্রিয়া জানায়, তাহলে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার জবাব দিতে প্রস্তুত। তবে তেহরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করবে না; বরং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের পরম শত্রু ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর পরিকল্পনা করছে।
গত বছর, ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার আগেই ইরান দুই দফা ইসরায়েলে বড় আক্রমণ চালায়। সেই হামলাগুলোতে ইসরায়েল অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিল, এমনকি তাদের রক্ষায় বহুজাতিক বাহিনীও এগিয়ে আসে। কিন্তু ইরানের হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
ইরানের এই আগ্রাসী পদক্ষেপে ইসরায়েল উদ্বেগিত হয়ে পড়েছে। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, ইরানও থেমে নেই। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি ঘোষণা করেছেন, তারা “অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি” নামক অভিযান চালাবে। এই হামলা ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, ইরানের এমন হুমকির জবাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ইহুদি জনগণ যদি ইতিহাস থেকে কিছু শিখে থাকে, তা হলো—যদি আপনার শত্রু বলে যে তার লক্ষ্য আপনাকে ধ্বংস করা, তাকে বিশ্বাস করুন। আমরা প্রস্তুত।”
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ইরানের গণহত্যার হুমকিকে গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিত। যদি ইরান ও তার মিত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হুমকি গম্ভীরভাবে নেওয়া হতো, তাহলে ৭ অক্টোবরের হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। শুধু ইসরায়েলকে নয়, ইরানের মিত্র ইয়েমেনকেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাব্বারি।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা ইরানের ক্ষোভের মূল কারণ। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক যুদ্ধে নিহত হওয়া ৬০০ এর বেশি মার্কিন সেনার মধ্যে ১৭ শতাংশের মৃত্যুর পেছনে সোলাইমানির ভূমিকা ছিল
Leave a Reply