প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের আয়োজিত মানববন্ধনে শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা পুনরায় চালুর দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, অব্যবস্থাপনা এবং টাকার অভাবে ২৬টি পাটকল, ৬৪টি সুতা ও বস্ত্রকল এবং ৯টি চিনিকল বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে লক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, ছাত্র-শ্রমিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শ্রমজীবী মানুষের বড় প্রত্যাশা রয়েছে।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশের জনগণের সম্পদ। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় এই অর্থ দেশে ফেরত এনে বন্ধ কারখানা চালু করা ও প্রতিটি উপজেলায় কৃষি নির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপন করা জরুরি। এতে বেকারত্ব কমবে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে পাট ও চিনি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খারাপ মানের পাট কেনা এবং আঁখের রস সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় উৎপাদন কমেছে। এসবের জন্য আমলাদের সিদ্ধান্তহীনতাকেই দায়ী করেন তিনি। এছাড়া তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, কোনো দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত যেন আমলাদের প্রস্তাবে গ্রহণ না করা হয়।
Leave a Reply