দিনভর অপেক্ষা নাটকীয়তা, উড়ো খবর আর পরের রাতের ছাত্রলীগ থেকে ভেসে এলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে কালের সবচেয়ে বড় খবরটা। যেখানে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন অবস্থান। ক্রিকেটে সারে বল করতে গিয়ে। পরীক্ষা পাওয়ার জানা গেল, সত্যিকার অর্থেই আইসি লিগ্যাল ডেলিভারির যোগ্যতা অর্জনে যাচাই সাকিব।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইংলিশ ক্রিকেটের বোলোয়া অালয় পার্টি হচ্ছে সাকিব হাসানের খেলা। বার্মিংহ্যামের লাফব্রো পরীক্ষায় ১৫ ডিগ্রি বেশি কনুই বাঁকানো এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। প্রশ্ন থেকে মুক্তি হতে এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে আবার পরীক্ষায় বসতে হবে।
তবে এখানেই শেষ নয়। ডোমিনো ইফেক্ট আরও বড়। আইসির নিয়মের প্যাঁচ, সাকিবের ইন্টারন্যাশনাল ভালো এর ধাক্কা। অনেক জার্সেতিওলিং করার ক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান পাসন সমস্যার সমাধান। ‘আইসি রেগুলেশন্স ফর দ্য রিভিউ অব বোলার্সেড ক্রিপ্টেনথ সাসেক্ট ইলিগ্যাল্যা বোলিং অ্যাকশনস’ আইনে ইন্সটেন্ট যাচ্ছেন সাকিব।
আইনের ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো তাদের নিষেধাজ্ঞারমালার বোলোয়ার কোর্টে পরীক্ষা করে পরীক্ষা করে এবং সেই নিয়মে স্বচ্ছলে মানগ্রাহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞাকে আইসি আমলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে। ‘
একই অনুষদের শেষ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘তিরি কোনো বিরোধিতা ছাড়া সব জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন এবং তাদের নীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটে একই নোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো নির্ধারণের জন্য আরোপ করা ও সব পদক্ষেপ আইনগতভাবে কার্যকরভাবে নেবে।’
অর্থ, সামনের দিনগুলোতে সাকিবকে বিভিন্ন যার্যাঞ্চেজেলিগে নাও দেখা যেতে পারে। এমনটি যদি হয়, তবে সাকিবেরই প্রায় শেষ বলা হয়। কারণ, সমস্যার কারণে প্রায় ১ বছর ধরে সাকিবের ব্যাটে রাখা নেই। বোলিংটাই ছিল তার কার্যকরী অস্ত্র। সেই সূত্রে পড়ল ত্রুটি।
অবশ্য আশার কথা, সাকিব রসোয়ারা খেলতে পারবেন, সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকবে না। ধারামালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ বিশ্লেষণ, ‘১১.১ ও ১১. অনুচ্ছেদ সাস পেন্ড স্ট্যান্ডের রাজনৈতিক দলকে দেশের জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন নির্দিষ্ট সীমারেখা স্থাপনের ঘরোয়া নিজস্ব মালিক বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে।’
কিন্তু সাকিব আল হাসান আদতে সেই সুযোগ পাবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণটা। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোতে আসতে নিজের শেষ খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। আপনি ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে জনরোষের কারণে। বিপিলে অংশগ্রহণও তাই অনিশ্চিত তার জন্য। সবমিলিয়ে অনিশ্চিত হয়ে গেল এই অলরাউন্ডারের ওষুধের শেষ অধ্যায়টাও। সূত্র : ঢাকা পোস্ট
Leave a Reply