বিএনপির লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে, শেষ হবে সমাবেশের মাধ্যমে
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় স্থলবন্দর মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
লংমার্চ ঘিরে তৎপরতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লংমার্চকে স্বাগত জানাতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা আগেই স্থলবন্দর এলাকায় উপস্থিত হন। নিরাপত্তার জন্য স্থলবন্দর এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রাম পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া ব্যারিকেড দিয়ে যাত্রী ও যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলার অংশগ্রহণ ও সরেজমিন পরিস্থিতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা লংমার্চে অংশগ্রহণ করেছেন। হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং ব্যানার নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে তারা আখাউড়া স্থলবন্দরে উপস্থিত হন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের আশপাশে বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন, তবে যাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
লংমার্চের পথসভা ও বক্তব্য
লংমার্চের অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে পথসভায় বক্তব্য দেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি আপসহীন থেকে কাজ করবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেওয়া হবে।’
শুরুর প্রেক্ষাপট
লংমার্চটি সকাল সাড়ে ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। শুরুর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, এটি বিক্রি করা হবে না। বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির শাসন মেনে নেবে না।’
সমাবেশ ও লংমার্চের কার্যক্রমকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
Leave a Reply